সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে স্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শামীম ওসমান বলেন, এই মুহূর্তে প্রিয় নারায়ণগঞ্জ বাসীসহ দেশ-বিদেশে আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ঘনিষ্ঠজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা যে যেখানে আছেন সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি লিপির জন্য।
এদিকে, গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন শামীম ওসমানের স্ত্রী ও জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি।
দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবার ওসমান পরিবারের পুত্রবধূ ও শামীম ওসমানের স্ত্রীর রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যাপারে শামীম ওসমান এর বেশি কথা বলতে পারেননি। শুধু বলেছেন, ‘এমআরআই পরীক্ষা করলে তার রিপোর্টে জানা যাবে কী সমস্যা’।
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে শামীম ওসমান বলেন, সবাই আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আমার স্ত্রীকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও সালমা ওসমান লিপি অসুস্থ ছিলেন বেশ কিছুদিন। দেশে মহামারির ক্রান্তিলগ্নে অতীতের ধারাবাহিকতায় বর্তমানেও ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবার প্রশংসনীয় ভূমিকা অব্যাহত রেখেছেন সালমা ওসমান লিপি ও শামীম ওসমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
নারায়ণগঞ্জে করোনার সংক্রমণের শুরুতে অসহায়দের পাশে যখন কাউকে পাওয়া যায়নি তখন থেকেই নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন সালমা ওসমান।
করোনা সংক্রমণের শুরুতে নারায়ণগঞ্জ রেডজোন ও হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হলে বিপদগ্রস্ত ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিকসহ নানাভাবে সহায়তা করেছেন তিনি।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই তিনি কর্মহীন, দুস্থ ও অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। করোনার ভয়াবহতায় মানুষের কাছাকাছি যেতে না পারলেও বিভিন্ন মাধ্যমে অসহায় মানুষের খোঁজ নিয়েছেন। অনেকে তাকে ফোন করেও তাদের অসহায়ত্বের কথা বলেছেন। তিনি তাৎক্ষণিক সেই অসহায় মানুষের বাসায় স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।
এছাড়াও কখনো সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত প্যারালাইজড রোগীকে আর্থিক সহায়তা, কখনো ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর পাশে, কখনো আগুনে দগ্ধ পরিবারকে চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থ সহায়তাও দিয়েছেন। হাত বাড়িয়েছেন অসহায় খেলোয়াড়ের পাশেও। জেলার অসংখ্য মানুষের উপকারে-সাহায্যে প্রকাশ্যে-গোপনে মানবতার দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে লিপি ওসমান ‘মমতাময়ী মা’ উপাধি পেয়েছেন।